Monday, August 17, 2015

আমাদের চলনবিল অপসংস্কৃতি বেহায়াপনার নীল আগ্রাসন ও তার নেপথ্যে

                               আমাদের চলনবিল
অপসংস্কৃতি বেহায়াপনার নীল আগ্রাসন ও তার নেপথ্যে

______________ইমরান আল আতিক


"''''''''''"""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""
চলনবিল অধ্যুষিত আমরা চাটমোহর বাসী। আমাদের আছে গৌরবান্বিত ঐতিহ্য মন্ডিত হাজারো ইতিহাস। আছে নামীদামি ব্যাক্তিত্ব। সেই পুর্ব কাল হতে আজ অবদি পর্যন্ত।
অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক , সাংস্কৃতিক তথা সকল ফরম্যাটে আমরা মাথা উচু করেই টিকে আছি যুগ যুগ ধরে।
*** চলনবিল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও ঐতিহ্য মন্ডিত সৈকত জুরা বিনোদিত একটি বিল। যার বিস্তৃতি কয়েকটা জেলার বিস্তীর্ণ জায়গা জুরে। যুগে যুগে এই বিলে হাজারো দেশি বিদেশী পর্যটক এসে মুগ্ধ হয়ে গেছে। বিশালাকার ঢেউ, সুর্যোদয় ও সুর্যাস্ত, বিস্তীর্ণ সবুজ মাঠ, কয়লা ও গ্যাসের খনি সহ হাজারো অলঙ্কারে সজ্জিত এ বিল সর্বজন বিনোদিত। এ বিলকে নিয়ে অনেক গবেষণা ও সমালোচনা হয়েছে। গরে উঠেছে চলনবিল জাদুঘর ও সংরক্ষনাগার।
আসলে এই বিল নিয়ে আমরা গর্বিত।
**যখন বর্ষায় মুখরিত এই বিল তর্জনে গর্জনে আলোরিত। সকালের রক্তিম সুর্যোদয় ও অপরাহ্নে নীলে লাল আভা বিজরিত সুর্যাস্তের সোপর্দ নিমজ্জিত এক আশ্চর্যজনক মনজ্ঞ দৃশ্য উপহার দেয়। তখন দুর দুরান্ত থেকে এসে উপচে পরা ভির জমায় চলনবিল পাড়ে হাজারো বিনোদিত মানুষ। বউ,বাচ্চা সহ সপরিবারে হাজির হয় চাকুরে, ব্যাবসায়ী, ছাত্রসহ নানা পেশাজীবী মানুষ। নানান নাট্যকলা ও চলচিত্রের শুটিং নিয়ে ব্যাস্ত থাকে অনেক প্রযোজনা মিডিয়া। পিকনিক, নৌকা বিলাস, মেলা , আর ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় ব্যাস্ত ও মুুখরিত থাকে পুরোটা বর্ষাকাল।
বর্ষার মাতুম মাতিয়ে রাখে বিল পারের লাখো মানুষকে।
* চলনবিলকে নিয়ে আমরা যেমন গর্বিত ঠিক তেমনি কিছু সমালোচিত ঘটনায় বিচলিত ও বটে। যার নেপথ্যে রয়েছে কিছু অসামাজিক বেহায়াপনা ও অপসংস্কৃতির নীল আগ্রাসন। যা সমাজকে হঠাত করেই চমকে দিতে পারে। চোখ দুটি কপাল থেকে চাদি পর্যন্ত উঠিয়ে ভাবাতে পারে এসকল কার্যকলাপ।
শোনা যায় এবং দেখা যায় চলনবিল পারে কিছু কিছু জায়গায় বিকেল থেকে গভির রাত অবদি জমে উঠে মাদকের ভয়াল আসর। ফেনসিডিল, আর গাজার আড্ডা চলে খুব জমজমাট ভাবে। যদিও তারা লোক চক্ষুর আরালে এগুলো করে থাকে বলে তারা ধরাছোঁয়ার বাহিরে থাকে। কিছু কিছু জায়গাতে কি পরিমানে মাদক ব্যাবহার করা হয় তা কেবল রাস্তার পাশ দিয়ে পানিতে ভাসা ফেনসিডিলের ডজন ডজন খালি বোতল দেখলেই বুঝা যায়।
সমাজের কিছু দুষ্কৃতিকারী এলাকার প্রভাবশালী লোকজন ও পুলিশের অসাধু ছত্রছায়ায় এসব মাদক অতি সহজেই পৌছে যায় একজন মাদক সেবির কাছে।
শুধু মাদক নয়। চলনবিলের বুকে নৌকা বিলাস নামে দিবারাত্রি চলে অশ্লীল নৃত্য আর দেহ ব্যাবসা। দুর দুরান্তের বিনোদিত উৎসুক জনতাদের আকৃষ্ট করে মোটা অংকের টাকা কামাচ্ছে কিছু অসাধু ব্যাক্তি । এই অসামাজিক কাজে লিপ্ত হচ্ছে আমাদের বিলপাড়ের ছাত্রসহ নানা পেশাজীবী মানুষ। যেখানে অপ্রাপ্তবয়স্ক কিছু মানুষেরও আনাগোনা দেখা যায়। আছে হত দরিদ্র কৃষি ও মৎসজীবীদেরও অংশ গ্রহন। দিনে যা রোজগার করে তা উরিয়ে দেয় রাতের অশ্লীল জলসায়।
এতে তারা যেমন অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত তেমনি বধুর একটু প্রতিবাদে বেধে যায় কলহ।
চলনবিল অধ্যুষিত আমাদের চাটমোহরে আছে বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আছে সুশিল সমাজ সেবক ও নেতা। আছে সংবাদপত্র মিডিয়া সাংবাদিক.। আছে শক্তিশালী প্রশাসন।
আমরা যদি এই অসামাজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে জোর মোকাবেলা না করি। যদি অবসাদে চলতে দেই এসব মাদক সেবন ও বেহায়াপনা অপসংস্কৃতি। তাহলে দেখবেন একদিন আমার ভাই আপনা সন্তান বা কেউনা কেউ এই ফাদে আটকে যাবে।

No comments:

Post a Comment